ফিলিপ কটলার বাংলাদেশের এই ঘটনা শুনলে বলতেন "কীসের মইধ্যে আমি মার্কেটিং ঢাইলতেছি!"

 

Marketing Level💥💥

ফিলিপ কটলার বাংলাদেশের এই ঘটনা শুনলে বলতেন "কীসের মইধ্যে আমি মার্কেটিং ঢাইলতেছি!"

যেমন বাটপার ঈমাম তেমন দোকানদার!

এক নেতা জমি দখল করে সেখানে মসজিদ বানাইছে। মানুষ নেতাকে বাহবা দিতে লাগল। প্রথম মসজিদ ছিল টিনের, পরে রাতারাতি ৫ তলার কাজ শুরু হলো। সবাই নেতাকে বাহবা দিতে লাগল। কিন্তু ৫ তলার কাজ শেষে দেখা গেল মসজিদে মুসুল্লী হচ্ছে মাত্র ২ কাতার, ফজরে ১ কাতার মেলানোই কঠিন। কিন্তু মসজিদের অনেক খরচ, ৫ তলা মেইন্টেইন করতে হয়। মসজিদটা আবার মেইন রোডে অবস্থিত। নেতা মসজিদ ৫ তলায় নিয়ে গেলেন, আর নিচের ৪ তলা মার্কেট বানিয়ে দিলেন। দুইটা সুবিধা হলো, এক মার্কেট থেকে আয় শুরু হলো। মার্কেটের দোকানদার, কাস্টমার মসজিদে নামাজ পড়া শুরু করল, তাতে ২ কাতার থেকে বেড়ে ৬/৭ কাতার পর্যন্ত মুসুল্লী পাওয়া শুরু হলো। এর এদিকে নেতারও লাভ। তিনি তার অফিস (চান্দাবাজির) স্থাপন করলেন মসজিদ মার্কেটে। দলের রাজনৈতিক কার্যালয়ও স্থাপন করলেন সেই মার্কেটে। নেতা দলীয় সিনিয়ার নেতাদেরও দৃষ্টি আকর্ষন করলেন এভাবে। মসজিদের আগের ঈমাম 'চটাং চটাং' করে কথা বলত। নেতা ঈমাম সাহেবকে বিদায় করে নতুন এক ঈমামকে নিয়োগ দিলেন। এই ঈমাম ছিল বড় মাপের ধান্ধাবাজ।

 এ ধরণের আরো তথ্য পেতে ভিজিট করুন  এখানে ক্লিক করুন

প্রতি শুক্রবারে জুম্মার নামাজের সময় মসজিদের জন্য কালেকশন করা হয়। সেই মসজিদ মার্কেটে এক ধান্ধাবাজ দোকানদার ছিলেন। তিনি অনেক সাইন বোর্ড, ব্যানার টানিয়ে কাস্টমারদের কাছে নিজেকে পরিচিত করতে পারছিলেন না। ওনার দোকান ছিল গলির ভেতরে। মানুষ মার্কেটে ঢুকে সিড়ির আশেপাশের দোকান থেকেই কেনাকাটা করে চলে যায়। দোকানদার এক চালাকি করলেন। শুক্রবার তিনি মসজিদের ঈমাম সাহেবকে নামাজের আগে মসজিদের জন্য ৫ হাজার টাকা দিলেন আর ৫০০ টাকা অতিরিক্ত দিয়ে বললেন "এটা দিয়ে বাচ্চাদের জন্য ফল কিনবেন। আমার তরফ থেকে হাদিয়া"। তারপর ঈমাম সাহেবকে দোকানের কার্ড দিলেন। ঈমাম সাহেব যা বুঝার বুঝে নিলেন।
এই মসজিদে জুম্মায় ২ হাজার লোক নামাজ পড়তে আসেন। এছাড়া মসজিদের মাইকের কল্যাণে এলাকার ৮/১০ হাজার মানুষ হুজুরের মোনাজাত শোনে। ঈমাম সাহেব খুৎবার আগে মসজিদের এসি কেনার জন্য টাকা চাইলেন। এরপরে ফরজ নামাজ পড়ালেন। তারপর ইয়া লম্বা এক মোনাজাত ধরলেন। মোনাজাতে তিনি দেশে ও জাতির জন্য দোয়া চাইলেন, তারপর একে একে দোয়া করলেন মসজিদ কমিটির সভাপতি ও তার পরিবার, সেক্রেটারি ও তার পরিবার সহ এলাকার নেতাদের জন্য। এরপর তিনি যারা দান করেছেন তাদের জন্য দোয়া চাইলেন। এক পর্যায়ে তিনি বললেন "ইয়ায় আল্লাহ! ২য় তলার ২৭৫ নম্বর দোকান 'জেন্টস কালেকশন' এর মালিক তোমার মসজিদের এসি কেনার জন্য ৫ হাজার টাকা দান করছেন। তুমি তার পরিবারের মৃত মুরুব্বীদের কবরে রহমতের এসি লাগিয়ে দাও। মুসল্লিরা বললেন 'আমিন'।
ঈমাম সাহেব আরো বললেন "ইয়া আল্লাহ, ২৭৫ নম্বর দোকানের উপর তোমার নেক নজর দিও, ওনার দোকানে ছেলেদের জিন্স গেঞ্জি ও এক্সপোর্টের শার্ট পাওয়া যায়। তুমি তার দোকানে বরকত দান করো।
২ হাজার মুসুল্লী সমস্বরে বলল "আমীন'।
"ইয়া আল্লাহ! ২৭৫ নম্বর দোকানে যারা কেনাকাটা করতে যাবে তাদের উপরেও তুমি খুশি হয়ো, তাদের আজ রোজগারে বরকত দান করো। তাদের পরিবারের মুরুব্বীদের কবরেও তুমি রহমতের এসি দান করো।"
এভাবে ঈমাম সাহবে কৌশলে ৫ মিনিট ধরে ২য় তলার ২৭৫ নম্বর দোকানের নাম নিলেন, ততক্ষনে এলাকাবাসীর এই দোকানের নাম ঠিকানা ও কী কী আইটেম এই দোকানে পাওয়া যায় সব মুখস্থ হয়ে গেছে।
From https://www.facebook.com/mdshihabali9898

Comments